টমেটো বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সবজি। তবে টমেটো গাছের পাতা কুঁকড়ে যাওয়ার সমস্যাটি অনেক কৃষকের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণ, পোকার আক্রমণ ও অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে এই সমস্যা দেখা দেয়।
🔍 রোগের নাম:
পাতা কুঁকড়ে যাওয়া রোগ (Leaf Curl Disease)
⚠️ রোগের কারণ ও বিস্তার:
এই রোগ সাধারণত ভাইরাসজনিত, যা থ্রিপস, সাদা মাছি জাতীয় পোকাদের মাধ্যমে ছড়ায়।
ভাইরাস আক্রান্ত গাছ সুস্থ গাছের সংস্পর্শে এলে তা সংক্রমিত হয়ে পড়ে।
🔎 রোগের লক্ষণ:
গাছ খর্বাকৃতির হয়ে যায়।
পাতাগুলি হলুদ হয়ে যায় এবং কুঁকড়ে যায়।
পাতার কিনারে ঢেউ বা ভাঁজ সৃষ্টি হয়।
পাতার শিরা ঘন ও মোটা হয়ে ওঠে।
ডগায় গুচ্ছাকারে ছোট ছোট পাতা জন্মে।
পাতাগুলি খসখসে ও স্বচ্ছ হলদেটে রঙ ধারণ করে।
আক্রান্ত পাতাগুলি মোটা ও চামড়ার মতো হয়।
পাতার নিচে সাদা মাছি বা থ্রিপস দেখা যায়।
গাছ দুর্বল ও দুর্বিপাকে পড়ে।
ফুল ও ফলনের পরিমাণ অনেক কমে যায়।
যদি শুরুতেই আক্রান্ত হয়, তবে ফলন একেবারেই হয় না।
🎯 আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু:
গাছের ডগা ও পাতা
✅ সম্ভাব্য প্রতিকার ও ব্যবস্থাপনা:
রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে।
রোগাক্রান্ত গাছ দ্রুত তুলে ফেলতে হবে যেন ছড়াতে না পারে।
সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে পরবর্তী মৌসুমের জন্য।
ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত (৪০-৫০টি ছিদ্রবিশিষ্ট) নেটের ঘেরা চেম্বারে বীজতলা তৈরি করুন।
চারা লাগানোর ৭ দিন পর থেকে ফুল আসা পর্যন্ত প্রতি ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করুন:
ইমিডাক্লোপ্রিড (ইমিডাপ্রিড) গ্রুপের কীটনাশক, যেমন:
ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮% SL – ০.৫ মি.লি./লিটার পানিতে
অথবা এসেটামিপ্রিড ২০% SP – ১.২৫ গ্রাম/লিটার পানিতে
📢 সতর্কতা:
স্প্রে করার সময় গ্লাভস, মাস্ক ও নিরাপদ পোশাক পরিধান করুন।
অতিরিক্ত সার বা পানি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন।