আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ইদানিং কালে ধানের খোলা পচা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। এটি ব্যাক্টেরিয়া জনিত ধ্বসা বা ঝলসা রোগ নামেও পরিচিত। ধানে থোড় আসার সময়ে এই রোগের আক্রমন দেখা যায়। শেষ পাতার খোলের উপর ধূসর রঙের বিভিন্ন আকৃতির দাগ দেখা যায়। দাগের চারদিকে বাদামী রঙের দাগ থাকে। আক্রমন বেশী হলে শীষ আংশিক বার হয় বা বার হতে পারে না। ধান কালো ও চিটে হয়ে যায়। মাজরা পোকা ও টুংরো আক্রান্ত গাছে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী হয়।
এই রোগের প্রতিকারে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে হবে –
পরিচর্যা
- ভালো করে পচানো জৈব সার যেমন গোবর সার, সবুজ সার বা কম্পোস্ট সার মাটির সাথে ভালো করে মিশিয়ে জমি তৈরি করতে হবে।
- বেশি পরিমান পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে।
- নাইট্রোজেন সারের প্রয়োগ কমাতে হবে।
- চারা বেশী ঘন করে রোপন না করে ফাঁক ফাঁক করে রোপন করতে হবে।
- গোবর সারের সাথে ট্রাইকোওডারমা ভিরিডি মিশিয়ে শেষ চাষের সময় মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া দরকার।
- এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে ট্রাইসাইক্লাজোল ০.৫ গ্রাম বা ভ্যালিডামাইসিন ২ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করুন।
রাসায়নিক
হেক্সাকোনাজোল ৫ % ই. সি. @ ১.৫ মিলি /লিটার বা
প্রোপিকোনাজোল ২৫ % ই. সি. @ ১ মিলি /লিটার বা
পেনসাইকিউরন ২২.৯ % এস সি @ ১ মিলি /লিটার বা
টেবুকোনাজোল ৫০ % + ট্রাইফ্লক্সিট্রবিন ২৫ % @ ০.৭৫ গ্রাম/লিটার বা
থাইফ্লুজামাইড ২৪ % এস সি @ ০.৭৫ মিলি /লিটার বা
ভ্যালিডামাইসিন ৩ % এল. @ ৩ মিলি /লিটার বা
প্রোপিকোনাজোল ১৩.৯ % + ডাইফেনোকোনাজোল ১৩.৯ % @ ০.৭৫ মিলি /লিটার বা
হেক্সাকোনাজোল ৪ % + জিনেব ৬৮ % @ ২ গ্রাম/লিটার জলে গুলে স্প্রে করার সুপারিশ করা হয়।